আমাদের দেশে কিন্তু এখন আপনি চাইলেই ভাল কাজের লোক পাবেন না । সবাই অল্প কাজে / পরিশ্রমে বেশি টাকা ইঙ্কাম করতে চায় । এখানেই খেজুরের গুড়ের ভেজাল – আসলের ১ টা ব্যাপার আছে – গল্প টা আজকে বলব । যদিও সিজন প্রায় শেষ । আর ১ সপ্তাহ পর থেকে আর ভাল গুড় হবে না কারন প্রকৃতির তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে । এর পর গাছ থেকে রস পাওয়া গেলেও রসের গুনাগুন দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় বিধায় ভাল গুড় আর হবে না ।
গুড়ের ভেজাল এর গল্প ঃ
মানুষ এখন আর পরিশ্রম এর কাজ করতে চায় না । প্রিমিয়াম গুড় তৈরি তে বেশ খাটুনি করতে হয় ।
১ । গাছ সময় নিয়ে চাছতে / কাটতে হয়
২। হাড়ি ( যটাতে রস জমা হয় ) সেটা ভালভাবে মেজে আগুন দিয়ে পোড়াতে হয় এতে যেটা হয় ব্যাকটেরিয়া থাকে না সকালে যে রস টুকু পাবেন সেটা অনেক ভাল পাবেন
৩ । পুনরায় হাড়ি লাগানোর আগে গাছের কাটা অংশ মাজুনি দিয়ে মেজে পানি স্প্রে করে ধুয়ে দিতে হয়
এটা ৯৯% যায়গায় পাবেন না । কারন অই যে সময় কম । মাক্সিমাম সবাই রস সংগ্রহ করে গাছের নিছে হাড়ি উপর করে রেখে আসে । এতে কিন্তু রস হাড়ির গায়ের সাথে কিছুটা হলেও থেকে যায় আর সেখানে গরমে গাজন প্রক্রিয়া / ইংলিশ এ “bacterial colonization” ঘটে এর পর আবার সেই হাড়ি না ধুয়ে রস সংগ্রহ করতে গাছে ঝুলিয়ে দেয়া হয় । এর পরের ঘটনা যেহেতু আগে থেকেই “Bacterial colonization ” ছিল খেজুরের রস জমা হওয়া তে এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুত / জামেতিক হাড়ে বাড়তে থাকে । আপনাদের জানার জন্য গাজন প্রক্রিয়া তে গ্লুকোজ লাগে / চিনি লাগে “খেজুরের রসে গ্লুকোজ এর পরিমান অনেক”
পরের দিন যখন রস নামায় ভোরে হলেও দেখা যায় রস অনেকটা ঘোলা হয়ে গেছে ।
আপনাদের জন্য বলছি ঃ হয়ত অনেকে জানেন , আবার অনেকে জানেন না ।
সবাই রসের হাড়ি লাগানোর আগে চুন এবং ফিটকারী ব্যবহার করে । এতে Bacterial colonization / গাজন প্রক্রিয়া বাধা গ্রস্থ হয় কিন্তু যেটা হয় ঃ
গুড় তিতা হওয়ার কারন কি ? ফিটকারী / চুন তো খারাপ না তাহলে ????
এখন মাক্সিমাম চাষি এখান থেকে বের হতে চায় না । মানে খাটনি করতে চায় না । অনেকেই অধিক মুনাফার আশায় বেশি বেশি চিনি মেশায় ।
আমাদের রয়েছে ২ জন প্রশিক্ষিত চাষি যাদের কে আমরা সরাসরি তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ দিএছি । পাশাপাশি উপযুক্ত পারিশ্রমিক প্রদান করি । যাতে পুরা প্রক্রিয়া ঠিক থাকে ।