Blog
গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পেতে যেসব খাবার খাবেন এবং এড়িয়ে চলবেন
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা আমাদের দেশে খুবই পরিচিত সাধারণ একটি সমস্যা। প্রায় প্রতিটি পরিবারের কেউ না কেউ এই সমস্যায় ভুগছেন। পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমা হওয়া বা এসিডিটি সমস্যা অনেকের জন্যই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এটি প্রায়ই খাওয়ার অভ্যাস, অনিয়মিত খাবার গ্রহণ, এবং বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে ঘটে। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পেতে যেসব খাবার গ্রহণ করা উচিত এবং যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। পাশাপাশি গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কারণগুলো ও সমাধানের উপায় নিয়েও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।

গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কারণ
গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির মূল কারণ হলো পেটে অতিরিক্ত অ্যাসিডের উৎপাদন। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ কাজ করে, যেমন:
- অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস: দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা বা দেরিতে খাবার গ্রহণ পেটের অ্যাসিড উৎপাদন বাড়ায়।
- মশলাযুক্ত ও ঝাল খাবার: অতিরিক্ত ঝাল বা মশলাযুক্ত খাবার পাকস্থলীতে এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
- ইন্ডাস্ট্রিয়াল তেল ব্যবহারঃ রান্নার জন্য বহুল ব্যবহৃত হলেও এর বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। এ ধরনের তেল স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
- অতিরিক্ত চা, কফি বা কোমল পানীয়: এই ধরনের পানীয়গুলো পেটের অ্যাসিড বৃদ্ধি করে।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল: ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায় এবং এসিড উৎপাদন বাড়ায়।
- মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ পেটে অ্যাসিড উৎপাদন বাড়ানোর অন্যতম কারণ হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক থেকে রেহাই পেতে যেসব খাবার খাবেন
১. শসা
শসা পেটের অতিরিক্ত গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পানি, যা দেহকে হাইড্রেটেড রাখে এবং পেটের গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে।
২. আদা
আদা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে বিশেষভাবে কার্যকর। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে এবং পেটের গ্যাস ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
৩. ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার
যেসব খাবারে প্রচুর ফাইবার আছে, যেমন ওটমিল, ব্রাউন রাইস, এবং সবুজ শাকসবজি, সেগুলো হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। তবে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তালবিনা বা যবের ছাতু । এছাড়াও তালবিনা হচ্ছে আল্লাহ রাসুল (সঃ) এর সুন্নতি খাবার তিনি ১৪০০ বছর আগে আমদের খাবার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি এটা আধুনিক গভেষণাতেও প্রমাণিত। ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার পেটে গ্যাসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৪. কলা
কলায় রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা পেটের অ্যাসিডকে প্রশমিত করতে সাহায্য করে। এটি হজমের উন্নতি ঘটায় এবং পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৫. ছোলা, মটর, বা ডাল
এই ধরনের শস্য জাতীয় খাবারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার রয়েছে, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সহায়ক এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৬. টক দই
টক দই প্রোবায়োটিক উপাদান সমৃদ্ধ, যা হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। এটি গ্যাস্ট্রিকের জন্য খুবই উপকারী কারণ এটি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে।
৭. পানিযুক্ত ফল
তরমুজ, শসা, স্ট্রবেরি প্রভৃতি ফল পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। এগুলো দেহকে হাইড্রেটেড রাখে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।
৮. প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারঃ প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারগুলোতে থাকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা হজমশক্তি উন্নত করতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে দই, কেফির, কম্বুচা, সাওয়ারক্রাট, , এবং কিছু ফার্মেন্টেড খাবার।ফার্মেন্টেড খাবারের মধ্যে সব চাইতে সেরা গাঁজানো রসুন মধু।এটি স্বাস্থ্যকর প্রোবায়োটিক উপাদানসমৃদ্ধ, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
১. মশলাযুক্ত খাবার
অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বাড়ায়। ঝাল ও মশলা হজমে সমস্যা তৈরি করে এবং পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপাদন করে।
২. ভাজা খাবার
ভাজা খাবার, যেমন পেঁয়াজু, সিঙ্গারা, চিপস, ইত্যাদি পেটে গ্যাস জমায় এবং হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। অতিরিক্ত তেল ও চর্বি অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা বাড়াতে পারে।
৩. কোমল পানীয় ও সোডা
কোমল পানীয় ও সোডা পান করলে পাকস্থলীতে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এই ধরনের পানীয় গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বাড়ায় এবং দীর্ঘমেয়াদে আরও সমস্যা তৈরি করতে পারে।
৪. চকলেট ও মিষ্টি খাবার
অতিরিক্ত চিনি এবং চকলেট পাকস্থলীতে গ্যাস জমাতে সাহায্য করে। চকলেটের উপাদান ক্যাফেইনও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বাড়াতে পারে।
৫. মদ ও ধূমপান
মদ্যপান ও ধূমপানের ফলে পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। এটি গ্যাস্ট্রিকের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি।
৬. ইন্ডাস্ট্রিয়াল তেল ঃ ইন্ডাস্ট্রিয়াল তেল তৈরির সময় প্রায়ই হাইড্রোজেনেশন প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়, যা তেলে ট্রান্স ফ্যাট তৈরি করে। ট্রান্স ফ্যাট শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) বাড়িয়ে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) কমিয়ে দেয়, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।ইন্ডাস্ট্রিয়াল তেল প্রায়ই উচ্চ তাপমাত্রায় পরিশোধন করা হয়, যা তেলে ক্ষতিকর রাসায়নিক তৈরি করে। এ ধরনের তেলে থাকা অ্যালডিহাইড ও অ্যাক্রোলিন নামক ক্ষতিকর উপাদান ফুসফুসের সমস্যা, ক্যান্সারের ঝুঁকি এবং প্রদাহজনিত রোগের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। এই ক্ষতির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল তেল ব্যবহারের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন সরিষার তেল। এতে থাকা ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, এবং প্রদাহ ও ব্যথা উপশমে সহায়ক।হজমশক্তি বাড়াতে, সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং সর্দি-কাশির ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবেও এটি কার্যকর। নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার শরীরের সার্বিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও গ্যাস্ট্রিক সমস্যার জন্য নিচের দেয়া পরামর্শগুলোও মেনে চলতে হবে।
- অতিরিক্ত পানি পান করা: পেটের গ্যাস কমাতে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে নিয়মিত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি।
- সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ: দীর্ঘ সময় খাবার না খেলে পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। তাই সময়মতো খাবার গ্রহণ করুন।
- হালকা ব্যায়াম: হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন কিছু হালকা ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম: পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ কমাতে দেহকে বিশ্রাম দেওয়া জরুরি।
উপসংহার
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা একটি অস্বস্তিকর এবং দুঃখজনক অভিজ্ঞতা , তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। যারা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ভোগেন, তারা মশলাযুক্ত ও ভাজা খাবার এড়িয়ে চলার পাশাপাশি ফাইবারসমৃদ্ধ এবং প্রোবায়োটিক উপাদানসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে উপকার পাবেন। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান, নিয়মিত খাবার গ্রহণ, এবং সঠিক সময়ে বিশ্রাম নেওয়াও গ্যাস্ট্রিক সমস্যার প্রতিরোধে সহায়ক।
Subscribe Our Newsletter
Related Products

Castor oil- ক্যাস্টর অয়েল

Pure Delight Combo Pack – পিওর ডিলাইট কম্বো প্যাক
Talbina-তালবিনা (Half Combo )

Natural Red Chili Powder – মরিচ গুড়া
200.00৳ – 500.00৳Price range: 200.00৳ through 500.00৳ Select options

Mustard Oil-গরু টানা কাঠের ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল
420.00৳ – 2,000.00৳Price range: 420.00৳ through 2,000.00৳ Select options
Special SeedMix-স্পেশাল সিডমিক্স
350.00৳ – 1,000.00৳Price range: 350.00৳ through 1,000.00৳ Select optionsSpecial Hair Care Oil

Moringa Powder- সজনে পাতা গুড়া
500.00৳ – 1,900.00৳Price range: 500.00৳ through 1,900.00৳ Select optionsAlu Bukhara Pickle-আলু বোখারার আচার

Black Seed Honey – কালোজিরা ফুলের মধু
950.00৳ – 1,800.00৳Price range: 950.00৳ through 1,800.00৳ Select optionsRelated Posts
Latest Product
-
Saffron Nuts Milkshake Without Talmisri -জাফরান বাদাম মিল্কশেক (তালমিছরি ছাড়া) 700.00৳ – 1,300.00৳Price range: 700.00৳ through 1,300.00৳
-
Himalayan Pink Salt- হিমালয়ান পিংক সল্ট দানাদার 250.00৳ – 700.00৳Price range: 250.00৳ through 700.00৳
-
Pure Delight Combo Pack - পিওর ডিলাইট কম্বো প্যাক
2,850.00৳Original price was: 2,850.00৳.2,420.00৳Current price is: 2,420.00৳. -
Digestive Health Combo - ডাইজেস্টিভ হেলথ কম্বো
1,950.00৳Original price was: 1,950.00৳.1,649.00৳Current price is: 1,649.00৳. -
Eid Anando Combo Pack - ঈদ আনন্দ কম্বো প্যাক
3,320.00৳Original price was: 3,320.00৳.2,820.00৳Current price is: 2,820.00৳.

Virgin Grade Coconut Oil-ভার্জিন গ্রেড নারকেল তেল
900.00৳ – 1,790.00৳Price range: 900.00৳ through 1,790.00৳ Select options
Fermented Garlic Honey-গাঁজানো রসুন মধু
1,000.00৳ – 2,800.00৳Price range: 1,000.00৳ through 2,800.00৳ Select optionsTalbina-তালবিনা রাসুল (সঃ) এর সুন্নতি খাবার

A2 Gawa Ghee-দেশি গরুর দুধের প্রিমিয়াম A2 গাওয়া ঘি
950.00৳ – 1,800.00৳Price range: 950.00৳ through 1,800.00৳ Select options
Barley Powder-ঢেঁকি ছাঁটা যবের ছাতু
350.00৳ – 700.00৳Price range: 350.00৳ through 700.00৳ Select options
Mustard Oil-কাঠের ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল
320.00৳ – 1,500.00৳Price range: 320.00৳ through 1,500.00৳ Select options
Black Seed Oil- কালোজিরা তেল
400.00৳ – 2,800.00৳Price range: 400.00৳ through 2,800.00৳ Select options
Himalayan Pink Salt- হিমালয়ান পিংক সল্ট গুড়া
300.00৳ – 1,000.00৳Price range: 300.00৳ through 1,000.00৳ Select optionsTalbina-তালবিনা (Half Combo )


