শিশু থেকে বৃদ্ধ, অ্যাজমার আক্রমণ থেকে রেহাই নেই কারো ‼
আজকের দিনে অ্যাজমা বা হাঁপানি একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সকলেই এই রোগের শিকার হচ্ছে। অ্যাজমা কী, কেন হয় এবং এর থেকে বাঁচার উপায় কি, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাওয়া খুবই জরুরি। চলুন জেনে নিই অ্যাজমা সম্পর্কে বিস্তারিত।
অ্যাজমা কী?
অ্যাজমা হচ্ছে শ্বাসনালির একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। যখন আমরা শ্বাস নেই, তখন বাতাস আমাদের নাকের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে। এই বাতাস চলাচলের পথকে আমরা বলি শ্বাসনালি। অ্যাজমা হলে এই শ্বাসনালি খুব সংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং ফুলে ও সরু হয়ে যায়। ফলে শ্বাস নিতে বা ছাড়তে প্রচণ্ড কষ্ট হয়, বুকে অনেক চাপ লাগে এবং খুব বেশি কাশি হয়।
অ্যাজমার কারণ:
অ্যাজমার সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন হাঁপানি বংশগত হতে পারে আবার পরিবেশগত কারণেও হতে পারে।
বংশগত / জিনগত কারণ: যদি পরিবারের কারো অ্যাজমা থাকে, তাহলে পরবর্তীতে অন্যদেরও হাঁপানি বা অ্যাজমা হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিবেশগত কারণ: কিছু খাবার, ধূলাবালি, পরাগ, ধোঁয়া,পশম, রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ এইসব জিনিসের সংস্পর্শে আসলে শরীর প্রতিক্রিয়া দেখায় বা অ্যালার্জি হয় যা অ্যাজমার আক্রমণ বা ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
শহরে পরিবেশ দূষণ বেশি থাকে। ধুলো, ধোয়ার মতো পরিবেশ দূষণের কারণে ফুসফুসের এই রোগটি দ্রুত সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এখন আমরা যারা জানলাম অ্যাজমা বা হাঁপানি কেন হয় তাদের সবার মনের মধ্যে এখন প্রশ্ন হচ্ছে অ্যাজমার চিকিৎসা কী?
জেনে অবাক হবেন অ্যাজমা চিরদিনের জন্য নিরাময় করা সম্ভব না। তবে রোগবৃদ্ধিকারী উপাদানগুলো হ্রাস, স্বাভাবিক ফুসফুসের কার্যকারিতা বজায় রাখা,নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে অ্যাজমা রোগের ঝুঁকি ও জটিলতা থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
ব্লগ পোস্ট টি ভালো লাগলে নিজের টাইম লাইনে শেয়ার করে রাখতে পারেন। নিজের সুস্থতা ও নিজের পরিবারের সুস্থতার জন্য ফিট ফর লাইফের সাথেই থাকুন কারণ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা আপনাদের কে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিয়ে কাজ করে চলেছি।