আপনার জীবন বাঁচাতে পারে এমন তথ্য জানতে চান⁉ আজ আমরা আলোচনা করবো হার্ট অ্যাটাক কেন হয় এবং কিভাবে আপনি এটি প্রতিরোধ করতে পারেন। তাই ব্লগ পোস্ট টি সম্পূর্ণ পুড়ুন, আপনার এবং আপনার পরিবারের প্রিয়জনের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
✅একটি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে মোট মৃত্যুর ৩৪ শতাংশের পেছনে আছে হৃদযন্ত্র ।অর্থাৎ দেশে প্রতি পাঁচটি মৃত্যুর একটি হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগে ।
আমরা সবাই জানি হার্ট আমাদের সারা শরীরের রক্ত সঞ্চালন করে পাম্পের মাধ্যমে। সাধারণত, হার্ট অ্যাটাকের ঠিক আগে রক্তনালিতে একটি কোলেস্টেরল প্ল্যাক ফেটে যায়। ফলে সেখানে রক্ত জমাট বাঁধে। এই জমাট বাঁধা রক্ত হার্টের রক্ত সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে যার ফলে রক্ত চলাচল মারাত্মক অথবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় আর তখনি হার্ট হয় অ্যাটাক ।
যেকোনো বয়সে এবং যে কেউ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে পারেন। সাধারণত, বয়স্ক মানুষ ও পুরুষদের এর প্রবণতা বেশি। তবে নারীরাও বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের বাড়তি ঝুঁকিতে থাকেন।
যারা ধূমপান করেন, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরলজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ঝুঁকিও বেশি।অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম একটি কারণ।
তাই আজ থেকেই আপনি যদি স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন করেন তাহলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। পাশাপাশি ধূমপান ত্যাগ করা, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা, চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করা, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড পরিহার করা, যথাসম্ভব দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপমুক্ত থাকা এইসকল অভ্যাসের মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করা সম্ভব।
যেহেতু হার্ট অ্যাটাক হলে একদিকে যেমন মৃত্যুঝুঁকি থাকে, অন্যদিকে চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। তাই হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধই করাই সর্বোত্তম পন্থা।
ব্লগ এবং ভিডিও টি ভালো লাগলে আমাদের পেজ টি ফলো করে রাখুন এবং প্রিয়জনদেরকে জানাতে ভিডিও টি আপনার টাইম লাইনে শেয়ার করেন রাখুন। ধন্যবাদ সবাইকে ।