Blog
যে ১২টি লক্ষণ দেখলে ডায়াবেটিস রোগের পরীক্ষা করা উচিত
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ না করার কারণে ঘটে। এটি দ্রুত নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা না পেলে গুরুতর জটিলতার কারণ হতে পারে। ডায়াবেটিস শনাক্ত করার জন্য কিছু লক্ষণ এবং উপসর্গ রয়েছে, যা শরীরে দেখা গেলে দ্রুত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত।
Table of Contents
Toggleযে ১২টি লক্ষণ দেখলে ডায়াবেটিস রোগের পরীক্ষা করা উচিত

১. অতিরিক্ত তৃষ্ণা লাগা
অতিরিক্ত তৃষ্ণা ডায়াবেটিসের একটি অন্যতম লক্ষণ। এই লক্ষণ দেখা দিলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত। রক্তে অতিরিক্ত শর্করা থাকলে শরীরের ইনসুলিন হরমোন ঠিকমতো কাজ করে না বা পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপন্ন হয় না। এর ফলে রক্তে গ্লুকোজের (শর্করা) মাত্রা বেড়ে যায়। এই অতিরিক্ত শর্করা শরীর থেকে বের করার জন্য কিডনি বেশি কাজ করতে শুরু করে, ফলে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ে। কিডনি যখন অতিরিক্ত শর্করা প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে, তখন শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। এর ফলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। পানির এই ঘাটতি পূরণের জন্য শরীর বারবার তৃষ্ণার সংকেত পাঠায়। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির অতিরিক্ত তৃষ্ণা লাগে।
২. বারবার প্রস্রাবের প্রবণতা
বারবার প্রস্রাবের প্রবণতা ডায়াবেটিসের একটি সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এটি দেখা দিলে ডায়াবেটিসের পরীক্ষা করা উচিত। ডায়াবেটিসের কারণে শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ করে না, যার ফলে রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এই অতিরিক্ত গ্লুকোজকে শরীর প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। ফলে বারবার প্রস্রাব করার প্রবণতা তৈরি হয়। তাছাড়া কিডনির কাজ হলো শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বের করে দেওয়া। যখন রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যধিক বেড়ে যায়, তখন কিডনি অতিরিক্ত গ্লুকোজকে ফিল্টার করার চেষ্টা করে। এ প্রক্রিয়ায় কিডনি বেশি পরিমাণে পানি ব্যবহার করে যা প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। সুতরাং বারবার প্রস্রাব হওয়া টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই লক্ষণটি অবহেলা করা হলে ডায়াবেটিস অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, স্নায়ুর সমস্যা এবং হৃদরোগ।
৩. ওজন কমে যাওয়া
শরীরের ওজন দ্রুত বা অস্বাভাবিকভাবে কমে গেলে ডায়াবেটিসের পরীক্ষা করা উচিত, কারণ এটি ডায়াবেটিসের একটি গুরুতর লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসে এই লক্ষণটি প্রায়ই দেখা যায়। ডায়াবেটিসে ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ না করার কারণে শরীর সঠিকভাবে রক্তের শর্করা ব্যবহার করতে পারে না। শর্করা হলো শরীরের প্রধান শক্তির উৎস। যখন শরীর শর্করা থেকে পর্যাপ্ত শক্তি পায় না, তখন এটি চর্বি এবং মাংসপেশী ভেঙে শক্তি তৈরি করে। এর ফলে শরীরের ওজন দ্রুত কমে যায়। তাই টাইপ ১ ডায়াবেটিসে শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। এই অবস্থায় শরীরের কোষগুলো শর্করা ব্যবহার করতে অক্ষম হয়ে পড়ে। ফলস্বরূপ, শরীর শক্তি উৎপাদনের জন্য অন্যান্য উৎস, যেমন চর্বি ও মাংসপেশী, ভেঙে ফেলে। তাই ওজন দ্রুত কমে যায় এবং এটি টাইপ ১ ডায়াবেটিসের একটি সাধারণ লক্ষণ।
৪. অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা
ডায়াবেটিস হলে অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগার অন্যতম প্রধান কারণ হলো শরীরের শর্করা (গ্লুকোজ) সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারা। এই সমস্যাটি ইনসুলিন হরমোনের অভাব বা কার্যকারিতার ঘাটতির কারণে ঘটে। ডায়াবেটিস হলে ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ না করলে (টাইপ ২) বা শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি না করলে (টাইপ ১), শরীরের কোষগুলো রক্তে থাকা শর্করা (গ্লুকোজ) গ্রহণ করতে পারে না। গ্লুকোজ হলো কোষের প্রধান শক্তির উৎস, যা খাদ্য থেকে আসে। যখন কোষগুলো গ্লুকোজ পায় না, তখন শরীর এটিকে শক্তির অভাব হিসেবে গণ্য করে এবং আরও বেশি খাবার খাওয়ার সংকেত দেয়। ফলে রোগী অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত বোধ করে। আর তাই ডায়াবেটিসে রক্তে পর্যাপ্ত গ্লুকোজ থাকলেও ইনসুলিনের ঘাটতি বা ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণে গ্লুকোজ কোষে পৌঁছাতে পারে না। ফলে শরীরে শক্তির অভাব দেখা দেয়, এবং মস্তিষ্ক এটি বুঝে ক্ষুধার সংকেত পাঠায়। এই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীরা প্রায়ই বারবার ক্ষুধা বোধ করেন।
৫. ক্লান্তি ও দুর্বলতা
ডায়াবেটিস হলে শরীরে ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভূত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো শরীরের সঠিকভাবে শক্তি উৎপাদন করতে না পারা। এই সমস্যাটি মূলত ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা হ্রাস বা এর ঘাটতির কারণে ঘটে। শরীরের প্রধান শক্তির উৎস হলো শর্করা (গ্লুকোজ), যা আমরা খাবার থেকে পাই। ইনসুলিন হরমোনের কাজ হলো রক্তের গ্লুকোজকে কোষের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে শক্তিতে রূপান্তর করা। ডায়াবেটিস হলে শরীর যথাযথভাবে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না (টাইপ ১) বা ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ করে না (টাইপ ২)। ফলে কোষে গ্লুকোজ প্রবেশ করতে পারে না এবং শরীর পর্যাপ্ত শক্তি উৎপাদন করতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে রোগী ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করে।
৬. চোখের ঝাপসা দৃষ্টি
ডায়াবেটিস হলে অনেক সময় চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। কারণ রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে চোখের বিভিন্ন অংশ, বিশেষ করে লেন্স এবং রেটিনায় প্রভাব পড়ে। ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে চোখেরও ক্ষতি করে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে তা চোখের লেন্সে তরল জমা হওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। লেন্সে তরল জমা হলে লেন্স ফুলে ওঠে এবং এর আকার পরিবর্তিত হয়। লেন্সের আকার পরিবর্তনের ফলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে চোখের লেন্সের ফোকাসিং ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লেন্স যখন সঠিকভাবে ফোকাস করতে ব্যর্থ হয়, তখন দূরের বা কাছের বস্তু পরিষ্কারভাবে দেখা যায় না। এই অবস্থায় দৃষ্টি ঝাপসা দেখা দেয়।
৭. ঘা সেরে উঠতে দেরি হওয়া
ডায়াবেটিস হলে ত্বকের ঘা বা ক্ষত সারাতে দেরি হওয়ার প্রধান কারণ হলো উচ্চ রক্তশর্করা, যা শরীরের স্বাভাবিক আরোগ্য প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। এই সমস্যাটি ডায়াবেটিসের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রভাবের কারণে ঘটে। ডায়াবেটিসে দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ রক্তশর্করা ধমনী এবং শিরার ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলোর ক্ষতি করে, যার ফলে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। যখন রক্তপ্রবাহ কমে যায়, তখন ত্বক এবং শরীরের অন্যান্য টিস্যুগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন এবং পুষ্টি পৌঁছায় না। পুষ্টির অভাবের কারণে ত্বকের ঘা বা ক্ষত নিরাময়ে সময় বেশি লাগে। ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ু ক্ষতি হতে পারে, যাকে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি বলা হয়। স্নায়ু ক্ষতি হলে আক্রান্ত ব্যক্তি ঘা বা আঘাতের ব্যথা বা তীব্রতা সঠিকভাবে অনুভব করতে পারে না। ফলে ক্ষত গুরুতর অবস্থায় পৌঁছানোর আগে তা শনাক্ত করা কঠিন হয়। ক্ষত যদি সঠিক সময়ে শনাক্ত না হয়, তবে তা ধীরে ধীরে আরও বড় হয়ে যেতে পারে এবং নিরাময় প্রক্রিয়াও দেরিতে হয়।
৮. ত্বকের সংক্রমণ
ডায়াবেটিস হলে ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়, এবং এর পেছনে বেশ কয়েকটি শারীরবৃত্তীয় কারণ কাজ করে। ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে এটি শরীরের বিভিন্ন টিস্যুতে প্রভাব ফেলে। উচ্চ রক্তশর্করা ত্বকে আর্দ্রতা বাড়িয়ে দেয়, যা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। উচ্চ রক্তশর্করা লিউকোসাইট বা শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা হ্রাস করে, যা শরীরের বিরুদ্ধে সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন এই শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা কমে যায়, তখন সংক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
৯. হাত ও পায়ে ঝিনঝিন ভাব বা অবশ অনুভূতি
ডায়াবেটিস হলে হাত ও পায়ে ঝিনঝিন ভাব বা অবশ অনুভূতির কারণ মূলত স্নায়ু ক্ষতি, যা ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি নামে পরিচিত। এই অবস্থাটি দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ রক্তশর্করার কারণে ঘটে।
ডায়াবেটিসে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ রক্তশর্করা স্নায়ুগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ুগুলো সঠিকভাবে সিগন্যাল পাঠাতে পারে না, যার ফলে হাত এবং পায়ের অনুভূতি হ্রাস পায়। এটি অবশ, ঝিনঝিন বা জ্বলন্ত অনুভূতি তৈরি করে। ডায়াবেটিসে রক্ত vessels ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। এই কারণে হাত এবং পায়ের টিস্যুগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন এবং পুষ্টি পায় না, যা ঝিনঝিন বা অবশ অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।
১০. বারবার সংক্রমণ হওয়া
ডায়াবেটিস হলে ত্বকে বারবার সংক্রমণের কারণগুলি বেশ কয়েকটি শারীরবৃত্তীয় এবং পরিবেশগত ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে। ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে এটি শরীরের টিস্যুগুলোকে প্রভাবিত করে। উচ্চ রক্তশর্করা ত্বকে আর্দ্রতা বাড়ায়, যা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। ফলে বারবার সংক্রমণের প্রবণতাও বাড়তে থাকে।
১১. চামড়া বা ত্বকের রং পরিবর্তন
ডায়াবেটিস হলে ত্বকের রং পরিবর্তনের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ কাজ করে। এই পরিবর্তনগুলি সাধারণত শরীরের শর্করা নিয়ন্ত্রণের সমস্যা এবং স্নায়ু ও রক্তনালীর ক্ষতির সঙ্গে জড়িত। ডায়াবেটিসে ইনসুলিনের অভাব বা অক্ষমতা থাকলে শরীরে গ্লুকোজের প্রভাব বৃদ্ধি পায়, যা ত্বকের রঙ পরিবর্তনের কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত গ্লুকোজের কারণে ত্বক পুরু ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, যা এর রংকে পরিবর্তিত করে। ডায়াবেটিস রোগীদের মাঝে ডায়াবেটিক ডার্মোপ্যাথি একটি সাধারণ ত্বকের সমস্যা। এতে ত্বকে বাদামী বা লালচে দাগ তৈরি হতে পারে, যা সাধারণত পায়ে এবং হাঁটুতে দেখা যায়। এটি রক্তনালী ও টিস্যুর ক্ষতির ফলে ঘটে এবং ত্বকের রঙ পরিবর্তন করে।
১২. যৌন সমস্যা
ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ু ক্ষতি হলে, বিশেষ করে যৌন অঙ্গের স্নায়ুগুলো প্রভাবিত হয়। এর ফলে যৌন উত্তেজনা অনুভব করা এবং যৌন ক্রিয়াকলাপের সময় সঠিক প্রতিক্রিয়া জানানো কঠিন হয়ে পড়ে। ডায়াবেটিসের কারণে রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা রক্তপ্রবাহের সমস্যা সৃষ্টি করে। এটি পুরুষদের ক্ষেত্রে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (পুরুষদের যৌন অঙ্গের রক্ত প্রবাহের সমস্যা) সৃষ্টি করতে পারে এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌন উত্তেজনা ও ভিজিদিটির অভাব ঘটাতে পারে।
উপরোক্ত লক্ষণগুলির মধ্যে একটি বা একাধিক লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে ডায়াবেটিস নির্ণয় এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এটি থেকে সৃষ্ট জটিলতাগুলো এড়ানো সম্ভব।
Subscribe Our Newsletter
Related Products









Plantago ovata – ইসুবগুলের ভুসি
Beetroot Powder-বিটরুট পাউডার


Related Posts
Latest Product
-
Pure Delight Combo Pack - পিওর ডিলাইট কম্বো প্যাক
2,850.00৳Original price was: 2,850.00৳.2,420.00৳Current price is: 2,420.00৳. -
Digestive Health Combo - ডাইজেস্টিভ হেলথ কম্বো
1,950.00৳Original price was: 1,950.00৳.1,649.00৳Current price is: 1,649.00৳. -
Eid Anando Combo Pack - ঈদ আনন্দ কম্বো প্যাক
3,320.00৳Original price was: 3,320.00৳.2,820.00৳Current price is: 2,820.00৳. -
Sohoj Ranna Combo Pack - সহজ রান্না কম্বো প্যাক
2,940.00৳Original price was: 2,940.00৳.2,499.00৳Current price is: 2,499.00৳. -
Brown Sugar - আখের লাল চিনি 180.00৳ – 850.00৳


Talbina-তালবিনা রাসুল (সঃ) এর সুন্নতি খাবার





Talbina-তালবিনা (Half Combo )


