Blog

ওজন কমাতে ঘি এর উপকারিতা

খালি পেটে প্রতিদিন এক চা চামচ ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করবে। ঘি মোটাতাজাকরণ হিসাবে বিবেচিত হলেও এর বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে এবং এটি আপনাকে ওজন ও ডিটক্স কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা।  ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে । প্রতিদিন খালি পেটে ঘি খাওয়া শুরু করলে শরীরে ভিতর থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠে, সেই সঙ্গে ত্বকের ভেতরে কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়। তাই ত্বকের সৌন্দর্যও বাড়ে। আর্থ্রাইটিস দূরে থাকে খালি পেটে ঘি খাওয়া শুরু করলে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা একদিকে যেমন জয়েন্টের সচলতাকে বাড়িয়ে তোলে, তেমনি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি যাতে না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে।

ওজন কমাতে ঘি এর উপকারিতা

ওজন কমাতে ঘি এর উপকারিতা

ফলে আর্থ্রাইটিস ও হাড়ের যেকোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। ঘিয়ে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শরীরের গঠনে নানাভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে। কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় । নিয়মিত ঘি খাওয়া শুরু করলে কোষেদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে দেহের সচলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে রোগভাগের আশঙ্কাও যায় কমে।

শুধু তাই নয়, নতুন কোষেদের জন্ম যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে ঘি। ফলে যে কোনও ধরনের শারীরিক ক্ষত সেরে ওঠে কম সময়ে। ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায় মস্তিষ্কের সচলতা বজায় রাখতে উপকারি ফ্যাটের প্রয়োজন পরে। আর যেমনটা আপনারা ইতিমধ্যেই জেনে ফেলেছেন যে ঘিয়ে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাট, যা ব্রেন সেলের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ঘিয়ে উপস্থিত প্রোটিন, নিউরোট্রান্সমিটাররা যাতে ঠিক মতো কাজ করতে পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধি ঘটতে সময় লাগে না। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় । খালি পেতে ঘি খেলে শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলকে একেবারে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসে। ফলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। ওজন কমাতে সাহায্য করে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঘিয়ের অন্দরে মজুত মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড, শরীরে জমে থাকা ফ্যাট সেলের গলাতে শুরু করে।

উপকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ:
ঘিয়ে রয়েছে কে২ এবং সিএলএ নামক দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে ক্যান্সার সেলেদের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কাও কমায়।

পোস্ট টি ভাল লাগলে শেয়ার করবেন ।

Related Posts

যবের ছাতুর উপকারিতা

যবের ছাতু বহু প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের খাদ্যতালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত হলেও সময়ের

Read More »
Shopping cart
Sign in

No account yet?

Start typing to see products you are looking for.
Shop
0 Wishlist
0 items Cart
My account