Blog

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়

দ্রুত ওজন কমানো কখনোই স্বাস্থ্যসম্মত নয় এবং শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর । দ্রুত ওজন কমানোর ফলে পানিশূন্যতা, পেশী ক্ষয় এবং বিপাকীয় সমস্যা দেখা দিবে। তবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমাতে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা, শারীরিক পরিশ্রম এবং সঠিক জীবনযাপনের কিছু সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। প্রথমত কম কার্বোহাইড্রেট ও বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার ও চিনি এড়িয়ে চলতে হবে। দ্বিতীয়ত প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করুন। তৃতীয়ত পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। তবে দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা না করে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ধীরে ধীরে ওজন কমানোই বেশি উপকারী।

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়
৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়

আজকের ব্লগে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে আপনি স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে একটি ভালো পরিকল্পনা দিয়ে আপনার শারীরিক ওজন কমানোর কাজ শুরু করতে পারেন। এখানে কিছু টিপস দিলাম যা আপনি মেনে চলতে পারেন: 

খাবারে ডায়েট পরিকল্পনা

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ডায়েট একটি বড় ভূমিকা পালন করে। আপনার খাবারে সঠিক পরিবর্তন আনতে পারলে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব। তবে খাবার বেছে নেওয়া ও সঠিক ডায়েট পরিকল্পনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

১. শরীরে ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ:

ক্যালরি খরচ এবং গ্রহণের মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় রাখুন। প্রতিদিন যতটা সম্ভব  কম ক্যালরি গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। ওজন কমানোর মূলমন্ত্র হলো ক্যালরি খরচ এবং ক্যালরি গ্রহণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা। প্রতিদিন যতটা ক্যালরি গ্রহণ করবেন, তার চেয়ে বেশি খরচ করতে হবে। সাধারণত একটি বড় পরিমাণ ক্যালরি ঘাটতি তৈরি করার জন্য ১২০০-১৫০০ ক্যালরির নিচে থাকার চেষ্টা করুন। তবে ডায়েট অনেক কম করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হবে। 

২. প্রোটিন খাওয়া বৃদ্ধি করা:

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ক্ষুধা কমায় এবং পেশী ঠিক রাখে। তাই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে আপনার ক্ষুধা কমবে এবং পেশী রক্ষা পাবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারগুলোর মধ্যে ডিম, মুরগির মাংস, মাছ, দই, বাদাম এবং বিভিন্ন ধরনের বীজ রয়েছে, যেমন- চিয়া সিড। চিয়া সিড উচ্চ প্রোটিন সম্পন্ন হওয়ার কারনে দীর্ঘক্ষন ক্ষুদা নিয়ন্ত্রনে থাকে , ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। আপনি FIT FOR LIFE এর ১০০% প্রাকৃতিক চিয়া সিড নিয়মিত খেতে পারেন।

৩. কার্বোহাইড্রেট খাবার খাওয়া কমানো:

কম কার্বোহাইড্রেট ডায়েট দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করে, বিশেষ করে শর্করা কমিয়ে রাখে। লো-কার্ব ডায়েট দ্রুত ওজন কমায়। শর্করা পরিমাণ কমালে ইনসুলিন লেভেল কমে যায়, যা শরীরের মেদ খরচ করতে কাজ করে। মূলত ভাত, রুটি, ময়দা ও চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করুন।

৪. ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া :

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজমে সহায়তা করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। যেমন- তালবিনা একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, এটি শরীরের জন্যও উপকারী। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজম শক্তি বৃদ্ধি  করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। এটি শরীরে ক্যালরির খরচ বৃদ্ধি করে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলোর মধ্যে তালবিনা, ফলমূল, শাকসবজি, ওটস, বাদামসিড মিক্স অন্যতম। 

 

 নিয়মিত শারীরিক চর্চা অনুশীলন করা

ওজন কমানোর জন্য শারীরিক চর্চা অনুশীলন করা অত্যন্ত জরুরী। ডায়েট এবং ব্যায়ামের সমন্বয়ে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব। 

১. কার্ডিও ওয়ার্কআউট করা :

দ্রুত ওজন কমানোর জন্য উচ্চ ইন্টেনসিটির কার্ডিও যেমন- দৌড়ানো, সাইকেল চালানো এবং সাঁতার কাটা অত্যন্ত কার্যকর। প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪০ মিনিট কার্ডিও করার চেষ্টা করুন। 

২. হাই ইন্টেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং (HIIT):

HIIT ওয়ার্কআউট শরীরের ক্যালরি খরচ বাড়ায় এবং মেটাবলিজমকে বৃদ্ধি করে। HIIT ওয়ার্কআউট এমন একটি ব্যায়াম যা খুব অল্প সময়ে প্রচুর ক্যালরি খরচ করে এবং মেটাবলিজম বাড়ায়। সাধারণত ২০-৩০ সেকেন্ড তীব্র ব্যায়াম করার পরে ১০-১৫ সেকেন্ডের বিশ্রাম নিন। এভাবে ১৫-২০ মিনিটের HIIT করাোনমাধ্যমে প্রচুর ক্যালরি খরচ করা সম্ভব। 

৩. ভারী ওজন তোলা:

ওজন তোলার অনুশীলন কেবল পেশী গঠনে সহায়ক নয়, বরং এটি বিশ্রামের সময়ও ক্যালরি খরচে সাহায্য করে। ওজন তোলার ব্যায়াম পেশী শক্তিশালী করে এবং বিশ্রামের সময়ও ক্যালরি খরচ বাড়ায়। স্কোয়াট, ডেডলিফ্ট, লাঞ্চেস এবং পুশআপ প্রভৃতি ব্যায়াম করলে ওজন কমানোর পাশাপাশি পেশী গঠনেও সাহায্য করবে।

 

পানির খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানো

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এটি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং হজম শক্তিকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে আপনাকে সুস্থ্য রাখতে সহায়তা করবে। পানি শরীরে শোষণ প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে, মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ক্ষুধা কমায়। খাবারের আগে ১-২ গ্লাস পানি পান করলে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ কমানো সম্ভব। এছাড়া পানীয় হিসেবে গ্রিন টি, লেবু পানি ইত্যাদি উপকারী।

 

 ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানো:

প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন করতে পারেন। মানসিক চাপ শরীরে কর্টিসল নামক হরমোন বাড়ায় যা ওজন বাড়াতে ভূমিকা রাখে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে চেষ্টা করুন। তাই মানসিক চাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন, যোগব্যায়াম এবং শ্বাস প্রশ্বাসের অনুশীলন করতে পারেন। এছাড়াও আপনি প্রতিনিয়ত পরিপূর্ন ঘুমাতে না পারেন তাহলে আপনার নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার যদি ঘুমের সমস্যা কিংবা মানসিক চাপে থাকেন, তাহলে আপনি নিয়মিত তালবিনা খেতে পারেন। কারন তালবিনা নিয়মিত খেতে আপনার মানসিক চাপ কমবে, সাথে ঘুমের সমস্যাও দূর হবে। আপনি চাইলে আমাদের FIT FOR LIFE এর ১০০% প্রাকৃতিক তালবিনা খেতে পারেন।

 

সঠিকভাবে খাবার বাছাই করা:

প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণের চেষ্টা করুন, যেমন ফলমূল, শাকসবজি, তালবিনা, ওটস, বাদাম ইত্যাদি। বিশেষ করে তালবিনা খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ তালবিনা একটি স্বাস্থ্য সম্মত খাবার। যা আমাদের রাসূল (সঃ) ১৪০০ বছর পূর্বে বলে গেছেন। এছাড়াও অলিভ অয়েল, ভার্জিন গ্রেড নারকেল তেল, বাদাম ইত্যাদি শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি যোগায়। ওজন নিয়ন্ত্রণ ও শারীরিক সকল ধরনের সমস্যা ও আপনার দেহকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আপনি FIT FOR LIFE এর ১০০% প্রাকৃতিক ভার্জিন গ্রেড নারিকেল তেল নিয়মিত খেতে পারেন।

আর অবশ্যই প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করুন। কারণ এগুলোতে অতিরিক্ত চিনি ও লবণ থাকে যা ওজন বাড়ায়। এছাড়াও এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয়। তাই প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া বর্জন করুন।

 

প্রতিদিন আলাদাভাবে অল্প অল্প খাবার খাওয়া:

প্রতি ২-৩ ঘণ্টা পর পর খাবার গ্রহণ করলে ক্ষুধা কম থাকে এবং ক্যালরি গ্রহণ কম হয়।

প্রতিদিন খাবারের রেকর্ড রাখা:

প্রতিদিন কী খাচ্ছেন তা লিখে রাখুন। এতে আপনি নিজের খাবারের অভ্যাস সম্পর্কে সচেতন হবেন। 

সতর্কতা পালন করা

পরিশেষে বলা যায় যে, মাত্র সাত দিনে ওজন কমানোর প্রচেষ্টা স্বাস্থ্যকর না হওয়ায় এটি শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। স্থায়ী ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ওজন কমানোর জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করুন। যাতে আপনি ধীরে ধীরে ওজন কমাতে পারেন এবং সুস্বাস্থ্য টিকিয়ে রাখতে পারেন।  

আমাদের আজকের ব্লগটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে এটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করুন। আপনার বন্ধুদেরও জানার সুযোগ করে দিন। এছাড়াও,আপনারা পরবর্তীতে কোন বিষয়ে ব্লগ পড়তে চান, তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আপনাদের মতামত আমাদের পরবর্তী কনটেন্ট তৈরি করতে ও লিখতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

Related Posts

যবের ছাতুর উপকারিতা

যবের ছাতু বহু প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের খাদ্যতালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত হলেও সময়ের

Read More »
Shopping cart
Sign in

No account yet?

Start typing to see products you are looking for.
Index
Shop
0 Wishlist
0 items Cart
My account