হার্ট অ্যাটাক সত্যিই একটি বিশেষ রোগ। এই রোগটি আসলে সবার মধ্যে খুব ভীতি সঞ্চার করে থাকে। কারণ বিশ্বে প্রতি বছর ৩৮ লাখ পুরুষ এবং ৩৪ লাখ মহিলা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়,আর আমরা সবাই জানি হার্ট অ্যাটাক হয় মূলত হার্টে হঠাৎ করে রক্ত সরবরাহ বন্ধ অথবা জমাট বেধে যায় আর তখনই হয় হার্ট অ্যাটাক।
এজন্যই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাদ্য তালিকার দিকে সবার নজর দেয়া উচিত।খাবার। হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
চলুন জেনে নিই কোন কোন খাবারগুলো হার্ট ভালো রাখে-
✅হার্ট ফ্রেন্ডলি খাবার খেতে হবে, হার্ট ফ্রেন্ডলি খাবার কে বলা হয় মেডিটেরিয়ান ডায়েট। অর্থাৎ এই খাবারে ফলমূল বেশি থাকবে, শাকসবজি বেশি থাকবে, মাছ থাকবে, লাল মাংস থাকবে না (গরুর বা খাশির মাংস) কিন্তু মুরগির মাংস খেতে পারবেন, দুধ ও দুধজাতিয় খাবার খেতে পারবেন। মেডিটেরিয়ান ডায়েট মেনে চলার সবচেয়ে বড় কারণ হলো হার্টকে সুস্থ রাখা। গবেষণায় এটি দেখা যায়, রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হার্টের ব্লকের ঝুঁকি কমাতে এই ডায়েট ভালো ভূমিকা রাখতে পারে। একই সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
?একটা কথা আছে প্লান্টবেজ ডায়েট হার্টের জন্য খুব ভালো । প্লান্টবেজ ডায়েট হলো আপনি যে খাবার খাবেন তার যেন ৫০% আনকুড থাকে। আনকুড মানে সবুজ শাকসবজি, সালাদ, শসা গাজর খেতে পারেন সাথে বিভিন্ন ফল। শাকসবজি এমন ভাবে রান্না করতে হবে যেন এর সব গুণাগুণ ধ্বংস না হয়, আপনাকে অল্প তেল দিয়ে রান্না করতে হবে।
✅ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খেতে হবেওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হলো অত্যাবশ্যক পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা-৩ এর ভালো উৎস রয়েছে এমন কিছু খাবার আইটেম হলো মাছ এবং বীজ যেমন তিসি, তুলসীর বীজ, চিয়া বীজ, আখরোট এবং স্যালমন মাছ ।
✅নিয়মিত রসুন খেতে পারেন কারণ রসুনের শক্তিশালী ঔষধি গুণ রয়েছে যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে । এটি অ্যালিসিন নামক একটি যৌগের উপস্থিতির জন্য অনেক থেরাপিউটিক প্রভাব রয়েছে। কাঁচা রসুন খেতে না পারলে মধু ও রসুন একসাথে ফারমান্টেড করেও খেতে পারেন।
?হার্টকে ক্ষতি করে এমন খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে। যেমনঃ
?যেকোন রান্নায় অতিরিক্ত তেল পরিহার করতে হবে কারণ অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার হার্টের জন্য খারাপ।
? মিষ্টি ও মিষ্টি-জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। চর্বি জাতীয় খাবার কমিয়ে ফেলতে হবে, কার্বো হাইড্রেড জাতীয় খাবার পরিমিত খেতে হবে এবং ট্র্যান্স ফ্যাট জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে অর্থাৎ বাইরেই ভাজা-পোরা খাবার,পিৎজা-বার্গার,বাজে তেলের রান্না করা খাবার।
আপনি একটি স্বাস্থকর খাবার লাইন আপ মেইন টেইন করে আপনার হার্ট সুস্থ রাখতে
ও হার্টের সকল সমস্যা থেকে বেঁচে থাকতে পারেন, তাই নিজে সতর্ক হোন ও নিজের পরিচিত ও প্রিয়জনদেরকে সুস্থ রাখতে ব্লগ পোস্ট টি শেয়ার করতে ভুলবেন না।