সর্দি কমানোর ঘরোয়া উপায়

সর্দি একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা, যা বছরের যেকোন সময়েই দেখা দিতে পারে। এটি সাধারণত ভাইরাসজনিত কারণে হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায়। তবে সর্দি হলে নাক বন্ধ, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়। যা দারুণ অস্বস্তির কারণ। তাই সর্দি নিরাময় করতে ঔষধ খেতে হয়। তবে ঔষধ ছাড়াও কিছু প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় দ্রুত সর্দি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

সর্দি কমানোর ঘরোয়া উপায়।

আজকের ব্লগে সর্দি কমানোর ঘরোয়া উপায়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

গরম পানির ভাপ নেওয়া

গরম পানির ভাপ সর্দি দূর করার জন্য একটি অন্যতম কার্যকর সমাধান। একটি বড় পাত্রে গরম পানি নিয়ে মাথার ওপর তোয়ালে দিয়ে মুখ ঢেকে গরম পানির ভাপ নিন। এতে নাক পরিষ্কার হবে, শ্বাস-প্রশ্বাসে আরাম হবে এবং সাইনাসের সমস্যা কমবে। পানিতে ইউক্যালিপটাস অয়েল বা পুদিনা পাতার নির্যাস মিশিয়ে করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে।

কালোজিরার তেল খাওয়া

কালোজিরা সর্দি নিরাময়ে খুবই কাজ করে। আমাদের প্রত্যেকের ঘরে কালোজিরা থাকে। যারা কালোজিরার তিক্ত ভাব এবং ঝাঁঝালো স্বাদের জন্য খেতে পারেন না, তারা আমাদের ফিট ফর লাইফের সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক কালোজিরা তেলটি খুব সহজে খেতে পারবেন। কারন এতে তিক্ত ভাব ও ঝাঁঝালো স্বাদ কম থাকে।

আদা চা পান করা

সর্দি কমাতে আদা চা খুবই কার্যকর। গরম পানিতে আদা কুচি দিয়ে চা বানিয়ে নিন। সাথে মধু এবং লেবু যোগ করুন। আমাদের ফিট ফর লাইফের সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ল্যাবে টেস্ট করা মধু আপনি খেলে ভালো ফলাফল পাবেন। আদার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সর্দি ও গলা ব্যথা কমায়। ফলে খুব দ্রুত সর্দি থেকে আরাম পাওয়া যায়। 

লবণ-পানির গার্গল করা

গলা ব্যথা এবং নাক বন্ধ হলে লবণ-পানির গার্গল করলে তাৎক্ষণিক স্বস্তি ও আরাম পাওয়া যায়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে দিনে ২-৩ বার কুলি করুন। গলার জীবাণু দূর হবে, প্রদাহ কমে যাবে এবং সর্দি থেকে আরাম পাওয়া যাবে। এর জন্য সাধারন লবন ব্যবহার না করে হিমালয়ান পিংক সল্ট ব্যবহার করলে আপনি দ্রুত ফলাফল পাবেন।

খাঁটি মধু এবং লেবু একসাথে খাওয়া

মধু এবং লেবুর প্রাকৃতিক ঔষধি গুণ সর্দি নিরাময়ে সহায়ক। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ ফিট ফর লাইফের ন্যাচারাল ল্যাব টেস্ট করা খাঁটি মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। মধু গলা নরম করে এবং লেবু ভিটামিন সি সরবরাহের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে এটি খাওয়ার পরে সর্দি থেকে আরাম পাওয়া যায়।

তুলসী পাতা এবং খাঁটি মধু খাওয়া

তুলসী পাতার নির্যাস খেলে সর্দি থেকে আরাম পাওয়া যায়। কয়েকটি তুলসী পাতা চিবিয়ে খান বা খাঁটি কালোজিরা ফুলের মধুর সাথে তুলসী পাতা পেস্ট করে পানিতে বা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন। তুলসীর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাবলির প্রভাবে সর্দি দ্রুত সারে।

হলুদে গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে পান করা

হলুদে থাকা কারকিউমিন সর্দি কমাতে সহায়ক। এক গ্লাস গরম দুধের সাথে আধা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে রাতে শোবার আগে পান করুন। এটি শরীরকে উষ্ণ রাখবে এবং দ্রুত সর্দি কমাবে।

আপনি ফিট ফর লাইফের সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে আরও ভালো ফলাফল পাবেন। 

হার্বস

সিজনাল ঠান্ডা সর্দি দূর করার জন্য আমাদের ফিট ফর লাইফের সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরী যেমন: তুলসি,আদা,বাসক পাতার গুঁড়া থেকে তৈরি  হার্বস ফর কোল্ড এই পাউডারটি নিয়মিত ৫-৭ দিন ২-৩ বার খেলেই আপনার সিজনাল সর্দি ভালো হবে। এটি কফ ভেতর থেকেই পরিষ্কার করবে ইনশা-আল্লাহ ।

 এই পাউডারটি আপনি নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন, কারণ এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং শতভাগ কার্যকরী। 

রসুন এবং গরম তেলের ব্যবহার

রসুন সর্দি দূর করার জন্য এবং সর্দি থেকে আরাম পাওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক উপাদান। ফিট ফর লাইফের ঘানিতে ভাঙা খাঁটি সরিষার তেলে কিছু রসুন মিশিয়ে গরম করুন, ঠান্ডা হওয়ার পর এটি গায়ে মালিশ করুন। রসুনের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ জীবাণু ধ্বংস করে, শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং সর্দি থেকে আরাম দেয়।

পর্যাপ্ত পানি পান করা

সর্দি হলে শরীর হাইড্রেটেড রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বেশি পরিমানে পানি পান করতে হবে। গরম পানি, হার্বাল চা বা স্যুপ পান করুন। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করবে এবং শ্বাসনালি পরিস্কার রাখে।

চিকেন স্যুপ

চিকেন স্যুপ সর্দি ও ঠান্ডার জন্য একটি কার্যকরি ঘরোয়া সমাধান। গরম গরম চিকেন স্যুপ খেলে সর্দি ভালো হয় এবং আরাম পাওয়া যায়। মুরগির মাংস, রসুন, আদা এবং বিভিন্ন সবজি দিয়ে স্যুপ তৈরি করুন। এটি নাক পরিষ্কার করে এবং শরীরে শক্তি যোগায়। ফলে সর্দি থেকে আরাম পাওয়া যায়। 

গাঁজানো রসুন মধু খাওয়া

সর্দি নিরাময়ে গাঁজানো রসুন মধুর উপকারিতা অপরিসীম। কারন রসুন ও মধু একসাথে দীর্ঘদিন ফার্মেন্টেড করে খেলে এর কার্যকারিতা ২০ গুন বেড়ে যায়। আপনি বাসায় এটি সহজেই তৈরি করতে পারবেন। 

আর যদি আপনি তৈরি না করে কিনে খেতে চান, তাহলে সাজেস্ট করবো আমাদের ফিট ফর লাইফের গাঁজানো রসুন মধু। 

 

 পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন

সর্দি হলে শরীরের জন্য কাজের ফাঁকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া খুবই জরুরি। দিনের বেলা বিশ্রামে থাকবেন এবং রাতের বেলা পর্যাপ্ত ঘুমাবেন। এটি শরীর দ্রুত সুস্থ্য হতে সাহায্য করবে এবং সর্দি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।

 

সতর্কতা

যদি সর্দি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ঘরোয়া প্রতিকারগুলো সীমিত সময়ের জন্য আরাম দিবে। তবে গুরুতর সমস্যা হলে চিকিৎসকের কাছে থেকে সঠিক চিকিৎসা নিন।

সর্দি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হলেও এটি অনেক অস্বস্তি সৃষ্টি করে। তাই সর্দি নিরাময়ে ঘরোয়া উপায়গুলো সহজলভ্য এবং কার্যকর, যা দ্রুত আরাম দিবে। আপনি উপরের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে দ্রুত সর্দি কমাতে পারবেন এবং সুস্থ্য জীবনে ফিরে আসতে পারবেন।

 

আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন এবং প্রাকৃতিক উপায়ে সমাধানের মাধ্যমে দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠুন।

Related Posts

আলু বোখারা, এই ছোট্ট মিষ্টি-টক ফলটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলবে। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু একবার খেলে নয়, এটি দিয়ে তৈরি করা যায় অসংখ্য স্বাস্থ্যকর ও মজাদার রেসিপি। চলুন জেনে নিই আলু বোখারার উপকারিতা, খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এটি দিয়ে কী কী তৈরি করা যায়। আলু বোখারার পুষ্টিগুণ আলু বোখারা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে: ভিটামিন সি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। ভিটামিন কে: রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা রোধ করবে। পটাসিয়াম: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে। ফাইবার: হজমশক্তি বাড়াবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: দেহের কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে এবং বার্ধক্যে প্রতিরোধ করবে। আলু বোখারার উপকারিতা ১. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে আলু বোখারা প্রাকৃতিক ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াবে। ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আলু বোখারা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এটি ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করবে। ৩. হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা আলু বোখারায় থাকা ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করবে। এটি অস্টিওপোরোসিসের প্রতিরোধ করবে। ৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। ৫. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখা আলু বোখারা কোলেস্টেরল কমাবে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে। ৬. ত্বকের যত্নে উপকারী এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমাবে। ৭. ওজন নিয়ন্ত্রণ ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি ক্ষুধা কমাবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে। আলু বোখারা খাওয়ার নিয়ম আলু বোখারা খাওয়ার সঠিক নিয়ম মেনে চললে এর পরিপূর্ণ উপকারিতা উপভোগ করা যাবে। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো: ১. সকালে খালি পেটে খান এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ৩-৪টি ভিজিয়ে খেয়ে নিন। এটি হজমশক্তি বাড়াবে এবং শরীর ডিটক্সিফাই করবে। ২. স্ন্যাকস হিসেবে খান দিনের মধ্যে হালকা ক্ষুধা লাগলে শুকনো আলু বোখারা খান। এটি দীর্ঘক্ষণ এনার্জি ধরে রাখবে। ৩. মিষ্টি পানীয় তৈরি করে খান আলু বোখারার শরবত বা স্মুদি বানিয়ে পান করুন এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখবে এবং পুষ্টি জোগাবে। ৪. রান্নায় ব্যবহার করুন পোলাও বা বিরিয়ানিতে আলু বোখারা একটি সুস্বাদু উপাদান হিসেবে ব্যবহার করুন। ৫. খাওয়ার পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ অতিরিক্ত না খেয়ে প্রতিদিন ৫-৬টি আলু বোখারা খাওয়া যথেষ্ট। অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে। আলু বোখারা দিয়ে তৈরি রেসিপি আলু বোখারা শুধু কাঁচা বা শুকনো খাওয়াই নয়, বরং এটি দিয়ে নানা রকম সুস্বাদু পদ তৈরি করা যাবে। এখানে কিছু জনপ্রিয় রেসিপি দেওয়া হলো: ১. আলু বোখারার শরবত একটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর পানীয়। এটি তৈরি করতে যা যা লাগবে: ৪-৫টি শুকনো আলু বোখারা ১ চা চামচ চিনি বা মধু ১ গ্লাস ঠান্ডা পানি সামান্য লেবুর রস পদ্ধতি: শুকনো আলু বোখারা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে এরপর ব্লেন্ড করে ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে নিন। চিনি বা মধু ও লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন। ২. আলু বোখারার চাটনি মিষ্টি ও টক স্বাদের জন্য এটি দারুণ উপকার করবে। উপকরণ: ১০টি শুকনো আলু বোখারা চিনি লবণ ভিনেগার সামান্য গোলমরিচ পদ্ধতি: সব উপকরণ একসঙ্গে সেদ্ধ করে ঘন হয়ে এলে ঠান্ডা করুন। চাটনি রুটি, পরোটা বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। ৩. আলু বোখারার কেক বা ডেজার্ট শুকনো আলু বোখারা ছোট টুকরো করে কেকের ব্যাটারে মিশিয়ে বেক করুন। এটি দারুণ একটি স্বাস্থ্যকর ডেজার্ট হবে। ৪. পোলাও বা বিরিয়ানিতে ব্যবহার আলু বোখারা পোলাও বা বিরিয়ানিতে মিষ্টি স্বাদ বৃদ্ধি করবে। এটি শুধু স্বাদই বাড়ায় না, বরং খাবারকে পুষ্টিকরও করে তোলবে। আলু বোখারা কেন আপনার খাদ্যতালিকায় থাকবে? আলু বোখারা একটি প্রাকৃতিক সুপারফুড, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করবে এবং শরীরকে সুস্থ্য রাখবে। এটি সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং অসাধারণ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন এবং একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্য সন্ধান করেন, তবে আলু বোখারা আপনার জন্য সেরা পছন্দ হবে। উপসংহার আলু বোখারা একটি ছোট ফল হলেও এর স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং বহুমুখী ব্যবহার অনেক বেশি। এটি আপনার দেহকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাবে এবং সুস্থ্য রাখবে। এর সহজ রেসিপিগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় নতুন স্বাদ যোগ করবে। তাই, আজই আপনার দৈনন্দিন খাবারে আলু বোখারার ব্যবহার করুন এবং এর অসাধারণ গুণাগুণ উপভোগ করুন।

আলু বোখারার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম: স্বাস্থ্য ও স্বাদের এক চমৎকার উৎস

আলু বোখারা, এই ছোট্ট মিষ্টি-টক ফলটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলবে। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু একবার

Read More »
Shopping cart
Sign in

No account yet?

Start typing to see products you are looking for.
Index
Shop
0 Wishlist
0 items Cart
My account