যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি উদ্যোগ গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাজমা বলছে হাঁপানির প্রাথমিক চারটি লক্ষণ দেখা দেয়।
১)আপনার যদি মাঝে মাঝেই শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, নিঃশ্বাসের সাথে সাঁ সাঁ শব্দ শুনতে পান,
২) সেই সাথে শুকনো কাশি বা প্রায়শই এই কাশি একটানা অনেকক্ষণ ধরে চলে।
৩) বুকে চাপ অনুভব করেন এবং
৪) খুব অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যান।
এই লক্ষণগুলো যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আপনি সম্ভবত হাঁপানিতে আক্রান্ত।
ফুসফুসের রোগগুলোর মধ্যে একটি রোগ হল অ্যাজমা বা হাঁপানি । হাঁপানি রোগ সম্পূর্ণভাবে নিরাময়ের উপায় এখনো চিকিৎসাবিজ্ঞানের অজানা। তবে কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়ে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।। আজকের এই ভিডিও টি সম্পূর্ণ দেখলে জানতে পারবেন ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে হাপানি কে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন।
১। হাঁপানি সমস্যায় খেতে পারেন মধু। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ১ চামচ মধু খেতে পারলে শ্বাসকষ্ট অনেকটাই কমে যাবে। হাঁপানি ছাড়া সর্দি-কাশিতেও মধু খুবই উপকারী।
২। লেবুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এক গ্লাস পানির মধ্যে একটা গোটা লেবুর রস আর সামান্য চিনি দিয়ে প্রতিদিন খেলে হাঁপানির কষ্ট অনেকটাই কমে যাবে।
৩। রসুন হাঁপানি প্রতিরোধে প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। রসুন ফুসফুসের ব্লক দূর করতে সাহায্য করে এবং এটি শ্বাসনালীর প্রদাহও হ্রাস করে। তাই মধুর সাথে রসুন মিশিয়েও খেতে পারেন। এটি আপনার হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে সাহয্য করবে।
৪। আদা হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগের জন্য একটি সুপরিচিত প্রাকৃতিক চিকিৎসা। গবেষকদের মতে, আদা শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে এবং শ্বাসনালী সংকোচন রোধে সাহায্য করে। এক কাপ ফুটন্ত পানির মধ্যে মেথি, আদার রস ও মধু দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে । রোজ সকালে ও সন্ধ্যায় এই মিশ্রণটি পান করলে উপকার পাবেন। এছাড়া আপনি কাঁচা আদা লবণ দিয়ে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
৫।যখনই দেখবেন অ্যাজমা বা হাঁপানির আক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে তখনি একটি বাটি মধ্যে সরিষার তেল নিয়ে গরম করুন। এরপর আলতো করে বুকে এবং পিঠে ম্যাসেজ করুন। যতক্ষণ না পর্যন্ত উপসর্গ প্রশমিত হয় ততোক্ষণ ম্যাসেজ করতে হবে। এর ফলে শ্বাসনালীর প্যাসেজ পরিষ্কার এবং স্বাভাবিক শ্বাস ফিরে পেতে সাহায্য করবে। ঘরোয়া উপায়ে হাঁপানি প্রতিকারের এটি খুবই কার্যকরি পদ্ধতি।
৬। হাপানি সমস্যা প্রতিরোধে সবচেয়ে বেষ্ট সমাধান হতে পারে গাজান রসুন মধু। ইংলিশে এটা কে Fermented garlic honey বলে। প্রতিদিন মাত্র দুই কোয়া গাঁজানো রসুন ও দুই চা চামচ মধু ঘুম থেকে উঠে সকালে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত খান আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে বলছি আপনার হাপানি চিরদিনের জন্য দূর হয়ে যাবে-ইনশাআল্লাহ!
-
Sale Product on saleগাঁজানো রসুন মধু – Fermented Garlic Honey900.00৳ – 2,500.00৳
ঘরোয়া এসব উপাদান আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অভ্যাস করা জুরুরি।এছাড়াও হাঁপানি রোগীদের একটু ধুলাবালি থেকেও সাবধানে থাকতে হবে। কারণ হাঁপানি রোগীদের জন্য ধুলোবালি অত্যন্ত ক্ষতিকর।
এই ধরনের উপকারী বিভিন্ন স্বাস্থ্য টিপস পেতে ব্লগটি লাইক ও কমেন্ট করুন এবং আপনিও যদি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে কখনও কি এই ঘরোয়া উপায়গুলো ব্যবহার করেছেন তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।