ইউরিন ইনফেকশন বা মূত্রনালী সংক্রমণ একটি বিশেষ সংক্রমণ যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। এটি মূত্রতন্ত্রের বিভিন্ন অংশে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
মূত্রতন্ত্রে সংক্রমণ কীভাবে হয়, এর উপসর্গ, ঝুঁকি, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ নিয়ে আজকের ব্লগে আলোচনা করা হলো।
ইউরিন ইনফেকশন কী ?
ইউরিন ইনফেকশন হলো একটি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন যা সাধারণত মূত্রতন্ত্রে ঘটে। মূত্রতন্ত্রের চারটি প্রধান অংশ আছে – কিডনি, মূত্রাশয়, মূত্রনালী ও মূত্রনালিকা। যখন ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালির মাধ্যমে মূত্রাশয়ে পৌঁছায় এবং সংক্রমণ সৃষ্টি করে, তখন এটি ইউরিন ইনফেকশন হিসেবে পরিচিত।
ইউরিন ইনফেকশনের ধরন
১. সিস্টাইটিস : এটি মূত্রাশয়ের সংক্রমণ, যার ফলে প্রস্রাব করতে গেলে ব্যথা এবং জ্বালা হতে পারে।
২. ইউরেথ্রাইটিস : এটি মূত্রনালির সংক্রমণ।
৩. পাইলোনেফ্রাইটিস : এটি কিডনির সংক্রমণ যা অত্যন্ত গুরুতর এবং সাধারণত জ্বর, পিঠে ব্যথা, বমি ভাব ইত্যাদি উপসর্গ তৈরি করে।
ইউরিন ইনফেকশনের উপসর্গ
১. প্রস্রাবে জ্বালা এবং ব্যথা হওয়া
২. ঘন ঘন প্রস্রাবের অনুভূতি হওয়া।
৩. প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন (ঘন, দুধের মতো বা লালচে) হওয়া।
৪. প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়া।
৫. উচ্চ তাপমাত্রা ও ঠাণ্ডা লাগা (কিডনি সংক্রমণের ক্ষেত্রে)।
ইউরিন ইনফেকশনের ঝুঁকি ও কারণ
১. নারীদের ইউরিন ইনফেকশনের ঝুঁকি বেশি : নারীদের মূত্রনালি ছোট হওয়ায় সহজেই ব্যাকটেরিয়া মূত্রাশয়ে পৌঁছাতে পারে।
২. হরমোনাল পরিবর্তন : গর্ভাবস্থা, মেনোপজ এবং কিছু ঔষধের প্রভাবে হয়ে থাকে।
ইউরিন ইনফেকশনের চিকিৎসা
ইউরিন ইনফেকশনের চিকিৎসার জন্য সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। তবে এই ঔষধ অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে গ্রহণ করা উচিত।
প্রতিরোধের উপায়
১. প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা।
২. প্রস্রাব আটকিয়ে না রাখা।
৩. যৌনমিলনের পর প্রস্রাব করা।
৪. টয়লেটের পর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা।
সংক্রমণের জটিলতা
সংক্রমণ মারাত্মক হলে তা কিডনিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটি দীর্ঘস্থায়ী কিডনি সমস্যা এবং রক্তে সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে।
পরিশেষে বলা যায় যে, যেহেতু ইউরিন ইনফেকশন এর কারণে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে তাই এই বিষয়ে অবশ্যই সচেতন হওয়া উচিত। এর প্রতিরোধের উপায়গুলো অনুসরণ করা উচিত। আজকের ব্লগটি যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে বলবো FIT FOR LIFE কে ফলো করুন এবং আপনার আপনজনের কাছে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।